মাজহারুল মিচেল: [২] ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত কূটনৈতিক সম্পর্কের এক সংবাদের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ আমাদের নতুন সময়কে শুক্রবার  সন্ধ্যায় এ মন্তব্য করেন।

[২] তিনি বলেন, ভারত চায় এমন এক সরকার আসুক যে তার সীমানা সুরক্ষিত রাখবে। দল এখানে বিষয় নয়। যার সাথে তার সুসম্পর্ক থাকবে তাকেই তারা চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। চীনকে যারাই প্রশ্রয় কম দিবে তাকেই তারা নিারপদ মনে করবে। এটা তার স্বার্থ।

[৩] ড. ইমতিয়াজ বলেন, কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বা দল নির্ধারণ করবে এ দেশেরই জনগণ। সুতরাং ভারতের চাওয়া পাওয়াতে এ দেশের জনগণের কিছু যায় আসেনা। আগে জনগণের স্বার্থ এরপর অন্যের স্বার্থ। এতে যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলে সে ঠিক করে নিবে তার পররাষ্ট্র নীতি।

[৪] তিনি বলেন, ভারত মনে করছে বাংলাদেশে যদি অন্য কোন মৌলবাদি বা এর মদদপুষ্ট কোন রাজনৈতিক দল আসে তাহলে উলফা বা এরমত অন্য জঙ্গী সংগঠন মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যা ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও যদি চীন বাংলাদেশে অবাধে সংযুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাহলে এ উপমহাদেশে ভারতের আধিপত্য বজায় রাখা অনেকটাই অসম্ভব।

[৫] অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার ফায়দা নেওয়ার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের অজুহাতে নানান প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এ ঘোলাটে অবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে অংশীদারীত্বের সুসম্পর্কের জন্য বৈঠকের প্রস্তাব দেয় তখন ভারত এটাকে একটি তাসের তুরুগ হিসেবে এ সতর্কগুলো করছে বলে তিনি মন্তব্য করছেন।

[৬] তিনি বলেন, ভারত আসলে চাইছে তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র যেন বাংলাদেশকে কোনকিছু না বলে। তারা বলতে চায় আমাকে পেতে হলে বাংলাদেশের সাথেও ভালো সম্পর্ক করো।

[৭] অপরদিকে তিনি বলেন, প্রধান বিরোধীদলের সঙ্গে ভারতের ক্ষমাতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে তেমন এগিয়ে আসতে না পারার কারণে ভারত তদেরকে ভয় পাচ্ছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান